Probidhan-2010

Probidan_2010.doc
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম প্রবিধান, ২০১০
১.        নাম কাঠামো
১.১       বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রকৌশল ডিপ্লোমা স্তরের শিক্ষাক্রমের নাম হবে
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং”
১.২       শিক্ষাক্রমের মেয়াদ হবে  ৪বছর (৮ সেমিস্টার)।
(ক) ৭(সাত) সেমিস্টার (পর্ব) সংশিষ্ট ইন্সটিটিউটে/প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে। এবং
(খ) ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং ৮ম পর্বে শিল্প কারখানায় এবং সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
১.৩       প্রবিধান বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একাডেমিক নিয়ন্ত্রণাধীন সকল সরকারি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে ২০১০-২০১১
শিক্ষাবর্ষ হতে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের জন্য কার্যকর হবে।
১.৪     সকল টেকনোলজির পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) বিন্যাসে পাঠ্য বিষয়ে তাত্ত্বিক ব্যবহারিক অংশের
        সাপ্তাহিক ক্লাশের সংখ্যা যথাক্রমে T (থিওরি) P (প্রাকটিক্যাল) দ্বারা বুঝানো হবে এবং
      প্রতি এক পিরিয়ডের তত্ত্বীয় ক্লাস এক ক্রেডিট-আওয়ার প্রতি তিন পিরিয়ডের ব্যবহারিক
         ক্লাস এক ক্রেডিট-আওয়ার দ্বারা নির্ধারিত হবে। তবে বাংলা, ইংরেজি ও ফিজিক্যাল এডুকেশন
         বিষয়ের দুই পিরিয়ডের ব্যবহারিক ক্লাশ এক ক্রেডিট-আওয়ার দ্বারা নির্ধারিত হবে। এক পিরিয়ডের
         সময়সীমা হবে ৫০ মিনিট। এক ক্রেডিট- আওয়ারের মান হবে ৫০ b¤^i| প্রতি বিষয়ের জন্য
        বিষয় কোড তার বাম পার্শ্বে লিখিত থাকবে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত
         ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের বিষয়বস্তুর b¤^i বিন্যাস অনুযায়ী প্রবিধান প্রযোজ্য হবে।
১.৫      শিক্ষাক্রম কাঠামোতে কোন টেকনোলজির বিষয়/বিষয়সমূহে পরিবর্তন ও নবায়ন এবং
         কাঠামোর তালিকায় নতুন বিষয়/বিষয়বস্তু সংযোজন এবং চাহিদা নেই এরূপ বিষয়/ বিষয়বস্তু
         প্রত্যাহার করার পদক্ষেপ বোর্ড  গ্রহণ করতে পারবে।
১.৬      প্রতি পর্বের শিক্ষাক্রম বাসত্মবায়নের মেয়াদ হবে ১৬ কার্য সপ্তাহ। প্রতি কার্য সপ্তাহে
৩৬-৪২ পিরিয়ড অনুষ্ঠিত হবে।
১.৭      যে কোন ইন্সটিটিউটে/প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বোর্ডের অনুমোদনক্রমে
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের নতুন টেকনোলজি প্রবর্তন করতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে
উক্ত টেকনোলজির ক্রেডিট সময়সীমা প্রচলিত শিক্ষাক্রমের অনুরূপ হতে হবে।
১.৮      কৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের সনদপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের (সকল টেকনোলজির) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া গুরুত্ব নিম্নরূপ হবে।
১.৮.১    গ্রেডিং পদ্ধতি (The Grading System)
প্রতি সেমিস্টারে একজন ছাত্রছাত্রী প্রাপ্ত b¤^‡ii ভিত্তিতে লেটার গ্রেড এবং তার বিপরীতে গ্রেড পয়েন্ট (GP)   অর্জন করবে।
নিম্নবর্ণিত নিয়মে প্রাপ্ত b¤^‡ii ভিত্তিতে লেটার গ্রেড এবং তার বিপরীতে গ্রেড পয়েন্ট প্রদান করা হবে।

প্রাপ্ত b¤^i
লেটার গ্রেড
গ্রেড পয়েন্ট (GP)
৮০% এবং তার উপর
A+
৪.০০
৭৫% থেকে ৮০% এর নিচে
A
৩.৭৫
৭০% থেকে ৭৫% এর নিচে
A-
৩.৫০
৬৫% থেকে ৭০% এর নিচে
B+
৩.২৫
৬০% থেকে ৬৫% এর নিচে
B
৩.০০
৫৫% থেকে ৬০% এর নিচে
B-
২.৭৫
৫০% থেকে ৫৫% এর নিচে
C+
২.৫০
৪৫% থেকে ৫০% এর নিচে
C
২.২৫
৪০% থেকে ৪৫% এর নিচে
D
২.০০
৪০% এর নিচে
F
০.০০
১.৮.২    গড় গ্রেড পয়েন্ট হিসাব পদ্ধতি (Calculation of GPA)
নিম্নে সিভিল টেকনোলজি বিভাগের প্রথম পর্বে একজন শিক্ষার্থীর b¤^‡ii ভিত্তিতে এচঅ হিসাব পদ্ধতি দেখানো হল ঃ
Sub. code
Name of the subject
T
P
C
Letter
Grade
Grade Point (GP)
C×GP
1011
Engineering Drawing
0
6
2
A
3.75
7.50
5711
Bangla
2
2
3
A+
4.00
12.00
5712
English - I
2
0
2
A
3.75
7.50
5911
Mathematics - I
3
3
4
A+
4.00
16.00
5912
Physics-I
3
3
4
A+
4.00
16.00
6711
Basic Electricity
3
3
4
B+
3.25
13.00
7011
Basic Workshop Practice
0
6
2
A
3.75
7.50
Total
21
79.5
ΣC = 21                 Σ(C×GP) = 79.50

                         Σ(C×GP)

       GPA = -----
                       ΣC

                        79.50
     = -----
  21
    
     = 3.79
১.৮.৩  পর্ব ভিত্তিক এচঅ এর গুরুত্ব

১ম পর্ব
৫%
২য় পর্ব
৫%
৩য় পর্ব
৫%
৪র্থ পর্ব
১৫%
৫ম পর্ব
১৫%
৬ষ্ঠ পর্ব
২০%
৭ম পর্ব
২৫%
৮ম পর্ব (ইন্ডাঃ ট্রেনিং)
  ১০%         
মোট = ১০০%
CGPA(Cumulative Grade Point Average) হিসাব পদ্ধতি
পর্ব
পর্ব ভিত্তিক GPA
গুরুত্ব
গুরুত্ব অনুযায়ী অংশ
(X)
১ম
৩.৫০
৫%
০.১৭৫
২য়
৩.৬০
৫%
০.১৮০
৩য়
৪.০০
৫%
০.২০০
৪র্থ
৩.৮২
১৫%
০.৫৭৩
৫ম
৩.৯০
১৫%
০.৫৮৫
৬ষ্ঠ
৪.০০
২০%
০.৮০০
৭ম
৩.৭০
২৫%
০.৯২৫
৮ম
৩.৮২
১০%
০.৩৮২
৩.৮২
Σ X = ৩.৮২
CGPA = ৩.৮২

২.        ভর্তির নিয়মাবলি
২.১        ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম  শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস।
২.২       বোর্ডের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি শিক্ষাক্রমের ভর্তির নীতিমালা প্রণয়ন করবে।
২.৩      কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সুপারিশকৃত নীতিমালা অনুসারে শিক্ষাক্রমের প্রথম সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে।
৩.       নিবন্ধন
৩.১    প্রথম পর্বে ভর্তির পর বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত নিবন্ধন তথ্য ফরম (RIF) পূরণ করে নির্ধারিত ফি প্রদানপূর্বক শিক্ষাক্রমের জন্য ক্লাশ আরম্ভের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনভুক্ত হতে হবে।
৩.২      একজন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ভর্তির শিক্ষাবর্ষ হতে ধারাবাহিকভাবে (আট) শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। শিক্ষা
কার্যক্রমের  পরিপন্থি  কোন  কাজ  করলে  সংশিষ্ট  প্রতিষ্ঠানের  শিক্ষা  পরিষদের  সুপারিশ  অনুযায়ী  ছাত্রছাত্রীদের  রেজিস্ট্রেশন
স্থগিত/বাতিল করার ক্ষমতা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকবে।
৩.৩     একজন শিক্ষার্থী কোন টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় অথবা অধ্যয়ন শেষে অন্য টেকনোলজিতে ভর্তি হতে পারবে না। অন্য
কোথাও ভর্তি হতে হলে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ভর্তি রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে মূল b¤^icÎ প্রতিষ্ঠান থেকে ফেরত নিতে হবে।
৪.         ধারাবাহিক মূল্যায়ন পর্ব সমাপনী পরীক্ষা
৪.১     কোন ছাত্রছাত্রী কোন বিষয়ে মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের শতকরা ৮০ ভাগ ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে তাকে পর্বসমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেয়া হবে না। তবে অসুস্থতা বা অন্য কোন  গ্রহণযোগ্য কারণে ইনস্টিটিউটের শিক্ষা পরিষদ সর্বোচ্চ শতকরা ১০ ভাগ অনুপস্থিতি  মওকুফ করতে পারবে। পর্ব সমাপনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে পর্ব সমাপনী পরীক্ষা তথ্য ফরম (EIF) পূরণের দিন পর্যনত্ম অনুষ্ঠিত ক্লাসের ভিত্তিতে হাজিরা হিসেব করতে হবে।
৪.২      ১ম পর্বের ছাত্রছাত্রী ব্যতিত নির্ধারিত হাজিরা অর্জনে ব্যর্থ অথবা কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য অন্য কোন কারণে পর্ব সমাপনী
পরীক্ষায় ফরম পূরণে ব্যর্থ ছাত্রছাত্রী যে পর্বে ব্যর্থ হয়েছে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে ধারাবাহিকভাবে পরপর সর্বোচ্চ দুইবার পুনরায় ভর্তি হয়ে নিয়মিতভাবে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবে। ১ম পর্বের ছাত্র ছাত্রীর ক্ষেত্রে পর্ব সমাপনী পরীক্ষার ফরম পূরণে ব্যর্থ হলে উক্ত ছাত্রছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে।
৪.৩      সকল পর্বের   প্রত্যেক তত্ত্বীয় বিষয়ের বা বিষয়ের তত্ত্বীয় অংশের মোট b¤^‡ii ২০% ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য এবং ৮০%
পর্বসমাপনী পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত থাকবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের b¤^i ক্লাস টেস্ট, কুইজ উপস্থিতির জন্য নির্ধারিত থাকবে। ন্যূনপক্ষে দু্‌ইটি ক্লাস টেস্ট নূন্যতম তিনটি কুইজ অনুষ্ঠিত হবে। ক্লাস টেস্ট , কুইজ উপস্থিতির জন্য b¤^i বিন্যাস হবে নিম্নরূপ তত্ত্ব্‌ীয় বিষয় বা বিষয়ের তত্ত্বীয় অংশের মোট  b¤^‡ii ভিত্তিতে
ক্লাস টেস্ট    ঃ                                                          ১০% কুইজ         ঃ                                                         ০৬% উপস্থিতি       (৭০% উপস্থিতির ঊর্ধ্বে আনুপাতিক হারে)         ০৪%
[ উপস্থিতির ব্যাখ্যা ৯০% এর উপরে- ০৪% ;         ৮০% - ৯০%    ০৩% ;          ৭০%-৭৯%       ০২% ]
৪.৪      তাত্ত্বিক ধারাবাহিক এবং তাত্ত্বিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম D গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
৪.৫      বিষয় শিক্ষকগণ ক্লাস টেস্টের তারিখ, সময় স্থান পূর্বেই ছাত্রছাত্রীদিগকে অবহিত করবেন। ৭ম ১২তম সপ্তাহে ক্লাশ টেষ্ট
অনুষ্ঠিত হবে। কুইজসমূহ ক্লাস চলাকালীন যে কোন সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে।
৪.৬      বিষয় শিক্ষক ক্লাশ টেষ্ট কুইজ পরীক্ষার পরীক্ষিত উত্তরপত্র সংশিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের কার্যদিবসের মধ্যে ক্লাসে দেখানোর পর b¤^i
তালিকাসহ সংশিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের নিকট জমা দিবেন।
৪.৭      সকল পর্বের ব্যবহারিক বিষয় বা বিষয়ের ব্যবহারিক  অংশের ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য ৫০% b¤^i  পর্ব সমাপনী ব্যবহারিক
পরীক্ষার জন্য ৫০% b¤^i নির্ধারিত থাকবে। ব্যবহারিক বিষয়/বিষয়ের ব্যবহারিক ধারাবাহিক অংশের মানবন্টন হবে নিম্নরূপঃ

৪.৭.১    ব্যবহারিক ধারাবাহিক মূল্যায়নের মানবন্টন
মূল্যায়নের ক্ষেত্র
১০০% এর ক্ষেত্রে
৫০% এর ক্ষেত্রে
ক. জব/ এক্সপেরিমেন্ট
৬০%
২৫%
খ. বাড়ির কাজ
১০%
০৫%
গ. জব/ এক্সপেরিমেন্ট রিপোর্ট প্রস্তুতকরণ
১০%
০৫%
ঘ. জব/ এক্সপেরিমেন্টের উপর মৌখিক পরীক্ষা
০৮%
০৫%
ঙ. আচরণ
০২%
০২%
চ. উপস্থিতি
১০%
০৮%
[ উপস্থিতি ৫০% এর ক্ষেত্রে ৯০% এর উপরে
০৮%  ; ৮০% - ৯০%
০৬% ;  ৭০%-৭৯%
০৪%]
৪.৭.২
[ উপস্থিতি ১০০% এর ক্ষেত্রে ৯০% এর উপরে
ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী মূল্যায়নের মানবণ্টন
১০%  ; ৮০% - ৯০%
০৮% ;  ৭০%-৭৯%
০৬%]
মূল্যায়নের ক্ষেত্র
৫০% এর ক্ষেত্রে
ক. জব/এক্সপেরিমেন্ট
৩০%
খ. জব/এক্সপেরিমেন্ট রিপোর্ট
১০%
গ. জব/এক্সপেরিমেন্ট চলাকালীন সময়ের মৌখিক পরীক্ষা
১০%
৪.৮      ব্যবহারিক ধারাবাহিক এবং ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম D গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
৪.৯     বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ৭ম পর্বের ক্লাস এবং ৮ম পর্বের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং সমাপনানেত্ম পর্ব সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৪.১০     পর্ব সমাপনী পরীক্ষা সংশিষ্ট ইনস্টিটিউট অথবা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন ইনস্টিটিউট/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
৪.১১     বোর্ড  ১ম,  ২য়,  ৩য়,  ৪র্থ,  ৫ম,  ৬ষ্ঠ,  ৭ম  এবং  ৮ম  পর্বের  সমাপনী/পরিপূরক  পরীক্ষার  প্রশ্নপত্র  সংশিষ্ট  কেন্দ্রের  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/বোর্ড কর্তৃক মনোনীত কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবেন। ১ম, ২য় ৩য় পর্বের সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অথবা প্রয়োজনে বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্ট পরীক্ষক দ্বারা এবং ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পর্বের সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে এবং ৮ম পর্বে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর  মূল্যায়ন ৪.২৩ ও ৪.২৪ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
৪.১২    ১ম, ২য় ৩য় পর্বের ব্যবহারিক পরীক্ষা পর্ব সমাপনী পরীক্ষার পর অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ b¤^i প্রদানে (গ্রেডিং) সংশিষ্ট বিষয়ের শিক্ষককে সহায়তা করার জন্য বিভাগীয় প্রধান  যে কোন শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবেন।
৪.১৩.১  সকল পর্বের ছাত্রছাত্রীকে প্রতি বিষয়ে/বিষয়ের অংশে ন্যূনতম D গ্রেড পেয়ে তত্ত্বীয় ধারাবাহিক মূল্যায়ন তত্ত্বীয় পর্ব সমাপনী পরীক্ষা সম্মিলিতভাবে এবং ব্যবহারিক ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৪.১৩.২  ব্যবহারিক অংশের ধারাবাহিক মূল্যায়নে কোন বিষয়/বিষয়সমূহে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীকে সংশিষ্ট পর্বে অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। এরূপ অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী যে পর্বে অনুত্তীর্র্ণ হয়েছে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে ধারাবাহিকভাবে পর পর সর্বোচ্চ দুইবার বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে পুনঃভর্তি হয়ে নিয়মিতভাবে উক্ত অকৃতকার্য বিষয়/বিষয়সমূহে  অধ্যয়ন করে সংশিষ্ট পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং উক্ত বিষয়/বিষয়সমূহের সকল অংশে অর্থাৎ তত্ত্বীয় ধারাবাহিক ও   পর্ব সমাপনী অংশে সম্মিলিতভাবে এবং ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী ও ধারাবাহিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। এ পরীক্ষায় প্রাপ্ত b¤^‡ii ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারন করা হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে সুযোগ গ্রহণ করে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে উক্ত ছাত্রছাত্রী  আর কোন সুযোগ পাবেনা

৪.১৪.১  কোন ছাত্রছাত্রী ১ম, ২য় ৩য়  পর্বে, পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ে তাত্ত্বিক/ব্যবহারিক অংশে অকৃতকার্য  হলে  উক্ত

ছাত্রছাত্রীকে  সাময়িকভাবে পরবর্তী  পর্বে  অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হবে। তবে এরূপ অনধিক যে দইু  বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে

শুধুমাত্র সেই বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষা পরবর্তী পর্বের ক্লাশ আরম্ভের ৪০ ( চলিশ) দিনের মধ্যে ( বোর্ড নির্ধারিত সময়ে) পরিপূরক পরীক্ষায়  নির্ধারিত  ফি দিয়ে অংশগ্রহণ  করতে পারবে।  এই পরিপূরক  পরীক্ষায়  অকৃতকার্য  হলে উক্ত ছাত্রছাত্রীর  উক্ত পর্বে সাময়িকভাবে অধ্যয়নের অনুমতি বাতিল হয়ে যাবে এবং সংশিষ্ট পর্বে অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। এরূপ অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী যে পর্বে অনুত্তীর্ণ হয়েছে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে ধারাবাহিকভাবে পর পর সর্বোচ্চ দুইবার যে বিষয়/বিষয়সমূহে অকৃতকার্য হয়েছে শুধুমাত্র সেই বিষয়/বিষয়সমূহে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং এ পরীক্ষায় প্রত্যেক অকৃতকার্য বিষয়ে/বিষয়সমূহের তত্ত্বীয়/ব্যবহারিক অংশের পর্বসমপনী পরীক্ষায় পৃথকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে পুনঃভর্তির মাধ্যমে পরবর্তী পর্বে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। পরীক্ষায় প্রাপ্ত b¤^i বিবেচনা করে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে এ সুযোগ গ্রহণ করে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নের আর কোন সুযোগ পাবে না।
৪.১৪.২  কোন ছাত্রছাত্রী ১ম, ২য় ৩য়  পর্বে, পর্ব সমাপনী পরীক্ষায়  তিন বা ততোধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হলে উক্ত ছাত্রছাত্রীকে সংশিষ্ট
পর্বে অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। এরূপ অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী যে পর্বে অনুত্তীর্ণ হয়েছে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে ধারাবাহিকভাবে পর পর সর্বোচ্চ দুইবার যে বিষয়/বিষয় সমূহে অকৃতকার্য হয়েছে শুধুমাত্র সেই বিষয়/বিষয়সমূহে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। পরীক্ষায় প্রত্যেক অকৃতকার্য বিষয়ে/বিষয়সমূহের তত্ত্বীয়/ব্যবহারিক অংশের পর্বসমপনী পরীক্ষায় পৃথকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে পুনঃভর্তির মাধ্যমে পরবর্তী পর্বে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। পরীক্ষায় প্রাপ্ত b¤^i বিবেচনা করে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে সুযোগ গ্রহণ করে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে এই ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নের আর কোন সুযোগ পাবে না।
৪.১৪.৩  কোন ছাত্রছাত্রী  ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ৭ম পর্বে, পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় যে কোন এক/দুই বিষয়ে তাত্ত্বিক/ব্যবহারিক অংশে অকৃতকার্য
হলে উক্ত ছাত্রছাত্রী পরবর্তি পর্বে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। এরূপ তাত্ত্বিক/ব্যবহারিক অংশে অকৃতকার্য এক/দুই বিষয়ে প্রতি পর্বের কেন্দ্র ফিসহ বোর্ডের নির্ধারিত ফি দিয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় পরিপূরক পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ  করবে।  অর্থাৎ পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় অধ্যয়নরত  পর্বের সকল বিষয়ের  সাথে পূর্ববর্তী  পর্বের অকৃতকার্য বিষয়সমূহে অংশগ্রহণ করবে। কোন ছাত্র/ছাত্রী পরিপূরক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে  পরবর্তী পর্বে/পর্ব সমাপনী পরীক্ষাসমূহে উক্ত বিষয়/বিষয়সমূহে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ পরীক্ষায় সংশিষ্ট বিষয়/বিষয়সমূহে  উত্তীর্ণ হলে প্রাপ্ত b¤^i বিবেচনা করে সংশিষ্ট পর্বের  ফলাফল নির্ধারণ করা হবে ।   [
৪.১৪.৪ কোন ছাত্রছাত্রী ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ   ৭ম পর্বে পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় তিন বা ততোধিক বিষয়ে তাত্ত্বিক/ব্যবহারিক সমাপনী অংশে অকৃতকার্য হলে সংশিষ্ট পর্বে  অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। এরূপ অনুত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রী যে পর্বে অনুত্তীর্ণ হয়েছে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে ধারাবাহিকভাবে পর পর সর্বোচ্চ দুই বার বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে শুধু অনুত্তীর্ণ বিষয় বা বিষয়সমূহের অনুত্তীর্ণ অংশে (তাত্ত্বিক/ব্যবহারিক সমাপনী) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ পরীক্ষায় প্রত্যেক অকৃতকার্য বিষয়ে/বিষয়সমূহের তত্ত্বীয়/ব্যবহারিক অংশের পর্বসমপনী পরীক্ষায় পৃথকভাবে উত্তীর্ণ হয়ে বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে পুনঃভর্তির মাধ্যমে পরবর্তী পর্বে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত b¤^i বিবেচনা করে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে সুযোগ গ্রহণ করে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে এই ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নের আর কোন সুযোগ পাবে না।
৪.১৫.১ কোন ছাত্রছাত্রী ৪র্থ/৫ম/৬ষ্ঠ/৭ম পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় তাত্ত্বিক/ব্যবহারিক অংশে অনধিক দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল
টেনিং অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। তবে সে ক্ষেত্রে উক্ত ছাত্রছাত্রী ৮ম পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় পূর্ববর্তী পর্ব/পর্বসমূহের অকৃতকার্য বিষয়/বিষয়সমূহে প্রতি পর্বের কেন্দ্র ফিসহ নির্ধারিত ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং এ উত্তীর্ণ হলেও ৪র্থ/৫ম/৬ষ্ঠ/৭ম পর্বের অকৃতকার্য বিষয়/বিষয়সমূহে উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যনত্ম ৮ম পর্বের চূড়ানত্ম ফলাফল ঘোষণা করা হবে না।
৪.১৫.২  ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এ উত্তীর্ণ হলেও যদি ৪র্থ/৫ম/৬ষ্ঠ/৭ম পর্বের কোন বিষয়/বিষয়সমূহে অকৃতকার্য থাকে তবে প্রতি পর্বের কেন্দ্র ফিসহ বোর্ডের নির্ধারিত ফি দিয়ে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসাবে রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। উক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত b¤^‡ii ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারিত হবে।
৪.১৬     কোন ছাত্রছাত্রী ৮ম পর্বে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং অকৃতকার্য হলে উক্ত ছাত্রছাত্রীকে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং অকৃতকার্য ঘোষণা করা হবে
এবং পরবর্তীতে তাকে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে নিজ খরচে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে।

৪.১৭ কোন ছাত্রছাত্রী কোন পর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী পর্বে অধ্যয়ন করা থেকে বিরত থাকলে ছাত্রছাত্রী যে পর্বে অধ্যয়ন করা থেকে বিরত রয়েছে পরবর্তী সংশিষ্ট পর্বে ধারাবাহিকভাবে পরপর সর্বোচ্চ দুইবার রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে পুনঃভর্তি হয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবে। তবে এক্ষেত্রে তাকে বোর্ডে সংযোগ রক্ষাকারী ফি প্রদান করতে হবে। সেমিস্টার আরম্ভের ১৫
কার্যদিবসের মধ্যে পুনঃভর্তি সমপন্ন করে বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।
৪.১৮.১   ১ম, ২য় ৩য় পর্বের পরীক্ষিত উত্তরপত্র, তাত্ত্বিক ব্যবহারিক অংশের ধারাবাহিক মূল্যায়নকৃত ফলাফল প্রতিপর্বের পরীক্ষা শেষে বিভাগীয় প্রধান তার বিভাগের শিক্ষকদের সাহায্যে নিরীক্ষণকরতঃ b¤^icÎ প্রণয়নানেত্ম ফলাফল সংকলন (টেবুলেশন) করে তিন কপি সংকলন শীট শিক্ষাবিষয়ক পরিষদের অনুমোদনের জন্য সংশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের নিকট জমা দিবেন। অনুমোদিত এক কপি সংকলন শীট পরিপূরক পরীক্ষার ফল প্রকাশের  এক সপ্তাহের মধ্যে বোর্ডে প্রেরণ করবেন
৪.১৮.২     শিক্ষা বিষয়ক পরিষদের অনুমোদিত ফলাফলের ভিত্তিতে ১ম, ২য় ও ৩য়  পর্বের জন্য ইন্সটিটিউট/প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয় m¤^wjZ ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(i) ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত GPA তালিকা
(ii) বিষয় উলেখপূর্বক পরিপূরক পরীক্ষাযোগ্য ছাত্রছাত্রীদের তালিকা।
৪.১৮.৩ পর্ব সমাপনী পরীক্ষার অব্যবহিত পর অভ্যনত্মরিণভাবে মূল্যায়নকৃত সকল প্রকার পরীক্ষা সংক্রানত্ম কাগজপত্র/উত্তরপত্র ইন্সটিটিউটে পরবর্তী পর্ব পর্যনত্ম সংরক্ষণ করতে হবে এবং উক্ত কাগজপত্র/উত্তরপত্র প্রয়োজনে বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আনত্মঃ প্রতিষ্ঠানের মান পরীক্ষা করার জন্য প্রেরিত উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করবে এবং উক্ত মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মানের সমতা বিধানকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৪.১৯.১   ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ৭ম পর্বের ব্যবহারিক পরীক্ষা পর্ব সমাপনী পরীক্ষার শেষে অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অভ্যন্তরিণ ও অনাভ্যন্তরিণ ব্যবহারিক পরীক্ষক যৌথভাবে পরিচালনা করবেন সাধারণতঃ সংশিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক উক্ত বিষয়ের অভ্যন্তরিণ পরীক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভ্যন্তরিণ  পরীক্ষক নিয়োগ করবেন এবং বোর্ড হতে অনাভ্যন্ত রিণ  ব্যবহারিক  পরীক্ষক  নিয়োগ  করা  হবে।  পরীক্ষার্থীর  সংখ্যা  এবং  ওয়ার্কশপ  অথবা  ল্যাবরেটরি  সুবিধাদির  ভিত্তিতে পরীক্ষার্থিদেরকে অনধিক ৩০ জনের গ্রুপে বিভক্ত করে ব্যবহারিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি প্রণয়ন করবেন। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী যাতে নির্ধারিত জব/ এক্সপেরিমেন্ট নিজ হাতে সমপন্ন করে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভাগীয় প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলোচনান্তে নোটিশের মাধ্যমে ব্যবহারিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরীক্ষার্থীদেরকে অবহিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৪.১৯.২     অভ্যনত্মরিণ অনাভ্যনত্মরিণ ব্যবহারিক পরীক্ষক যৌথভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষা তদারক করবেন এবং মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ
পরীক্ষার্থীদের b¤^i প্রদান করবেন।
৪.১৯.৩   অনাভ্যনত্মরিণ ব্যবহারিক পরীক্ষক অভ্যনত্মরিণ পরীক্ষকের সাথে আলোচনাক্রমে b¤^i প্রদান করবেন। বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে অনাভ্যনত্মরিণ ব্যবহারিক পরীক্ষকের সিদ্ধানত্ম চূড়ানত্ম বলে বিবেচিত হবে।
৪.১৯.৪     অভ্যনত্মরিণ পরীক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত তাত্ত্বিক ব্যবহারিক ধারাবাহিক b¤^i বিভাগীয় প্রধান/ইন্সটিটিউট প্রধান কর্তৃক wZ¯^v¶i করে
বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।
৪.২০       ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পর্বের সমাপনী তত্ত্বীয় বিষয়ের উত্তরপত্রসমূহ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই বীমাকৃত পার্শ্বেল ডাকযোগে (কমিপউটারায়ন নির্দেশনা মোতাবেক) বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে। বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত পরীক্ষক দ্বারা উত্তরপত্র পরীক্ষা করা হবে।
৪.২১       কোন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ধারাবাহিকভাবে বা পর্যায়ক্রমে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা
সাপেক্ষে নির্ধারিত ফি প্রদান করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ হতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পূর্ব অনুমতি নিতে হবে।
৪.২২      যদি কোন পরীক্ষার্থী তার প্রাপ্ত CGPA এর মান উন্নয়ন করতে চায় তবে নির্ধারিত ফি প্রদান করে ৬ষ্ঠ ৭ম পর্বের মান উন্নয়ন পরবর্তী পর্বসমাপনী পরীক্ষায় করতে পারবে।
৪.২৩        ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর নিয়মাবলী
৪.২৩.১  ৮ম পর্বে ১৬ সপ্তাহে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং সম্পন্ন হবেঃ
(i) ১২ সপ্তাহ ইন্ডাষ্ট্রি/সংস্থায় এবং

(ii) সপ্তাহ ইন্সটিটিউটে।
৪.২৩.২   শিল্পকারখানার বা অন্যকোন সংস্থা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত প্রশিক্ষক এবং সংশিষ্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কর্তৃক
নিয়োজিত সংশিষ্ট বিভাগীয় শিক্ষক যৌথভাবে শিল্পকারখানায় ১২ সপ্তাহব্যাপী ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা   মূল্যায়ন করবেন।
৪.২৩.৩  ইন্সটিটিউটের   সপ্তাহের  ট্রেনিং  সংশিষ্ট  বিভাগীয়  প্রধান  কর্তৃক  তৈরিকৃত  সিডিউল  অনুযায়ী  অধ্যক্ষ  কর্তৃক  নিয়োজিত
শিক্ষক/শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালনা মূল্যায়ন করবেন।
৪.২৩.৪    ইন্ডাস্ট্রি/সংস্থায় এবং ইন্সটিটিউটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর মোট ১৬ সপ্তাহের কার্যক্রমের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে
ছাত্রছাত্রীদেরকে ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষার সময় মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
৪.২৩.৫   বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত অনাভ্যন্তরিণ পরীক্ষক, সংশিষ্ট ইন্সটিটিউটের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক এবং বিভাগীয় প্রধান যৌথভাবে ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষা মূল্যায়ন করবেন এবং মূল্যায়নকৃত b¤^i বোর্ড নির্ধারিত b¤^ic‡Î লিপিবদ্ধ করে যৌথ ¯^v‡i দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
৪.২৩.৬    কোন শিক্ষার্থীর হাজিরা ৮০% এর নিচে থাকলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এ অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে।
৪.২৪   ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর b¤^বণ্টন
৪.২৪.১ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং ক্রেডিট এর একটি ব্যবহারিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে, যার মোট b¤^i হবে ৩০০। উক্ত মোট b¤^‡ii মধ্যে ২০০ b¤^i ইন্ডাষ্ট্রি/সংস্থায় ট্রেনিং এর জন্য এবং ১০০ b¤^i ইন্সটিটিউটে ট্রেনিং এর জন্য নির্ধারিত থাকবে। উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহারিক ধারাবাহিকে ৫০% এবং ব্যবহারিক পর্ব সমাপনীতে ৫০% b¤^i নির্ধারিত থাকবে। ইন্ডাষ্ট্রি/সংস্থায় এবং ইন্সটিটিউটের
ট্রেনিং , ব্যবহারিক ধারাবাহিকে  এবং ব্যবহারিক পর্বসমাপনী  পরীক্ষায় পৃথক পৃথকভাবে ন্যূনতম C+  গ্রেড পেয়ে পাস করতে
হবে
৪.২৪.২  ইন্ডাষ্ট্রি/সংস্থায় ট্রেনিং ব্যবহারিক ধারাবাহিক b¤^‡ii ৫০% অর্থাৎ ১০০ b¤^‡ii বিভাজন নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
(i) দৈনন্দিন কাজ             ঃ     ৫০ (ii) হাজিরা                    ঃ     ৩০ (iii) দৈনন্দিন কাজের রেকর্ড সংরক্ষণ            ঃ     ২০
মোট  = ১০০
[ হাজিরাঃ ৯০% বা এর উপর (আনুপাতিক হারে) = ২৫-৩০
৮০-৮৯% (আনুপাতিক হারে) =২০-২৪]
৪.২৪.৩ ইন্সটিটিউটে ট্রেনিং ব্যবহারিক ধারাবাহিক b¤^‡ii ৫০% অর্থাৎ ৫০ b¤^‡ii বিভাজন নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
(i) দৈনন্দিন কাজ
২৫
(ii) হাজিরা
১৫
(iii) দৈনন্দিনকাজেররেকর্ড সংরক্ষণ    
১০
মোট  = ৫০
[ হাজিরা ৯০% বা এর উপর (আনুপাতিক হারে) = ১৩-১৫ ]
৮০%-৮৯% (আনুপাতিক হারে) = ১০-১২ ]
৪.২৪.৪ ইন্ডাষ্ট্রি/সংস্থায় এবং ইন্সটিটিউটে ট্রেনিং ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী b¤^‡ii ৫০% অর্থাৎ ১৫০ b¤^‡ii বিভাজন নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
ইন্ডাষ্ট্রি
প্রতিষ্ঠান
মোট
(i) প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ
৫০
২৫
৭৫
(ii)  প্রতিবেদন মূল্যায়ন উপস্থাপন
৫০
২৫
৭৫
মোট  = ১৫০

৪.২৫.      ট্রান্সক্রিপ্ট সনদপত্র
৫.১     ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ৮ম পর্বের ট্রান্সক্রিপ্ট ইংরেজি ভাষায় বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত হবে এবং ১ম, ২য় ৩য় পর্বের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রতিষ্ঠান
ইংরেজী ভাষায় লিপিবদ্ধ করে অধ্যক্ষের ¯^vi গ্রহণানেত্ম বিতরণ করবে।
৫.২    সনদপত্রের নাম হবে ইংরেজিতে “Diploma-in-Engineering”
৫.৩      ১ম হতে ৮ম পর্বের ধারাবাহিক মূল্যায়ন পর্ব সমাপনী বোর্ড পরীক্ষায় সকল বিষয়ে প্রাপ্ত  CGPA এর ভিত্তিতে বোর্ড সনদপত্র
প্রদান করবে।
৫.৪      সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের মেয়াদ উলেখসহ ইংরেজি ভাষায় প্রদান করা হবে।
৬.        বোর্ডের অনুমোদিত mgwš^Z শৃংখলাবিধি উপবিধি শিক্ষাক্রমের জন্য অনুসরণ করা হবে। সরকারের ১৯৮০ সনের পাবলিক এক্সামিনেশন
এক্ট (সংশোধনী সহ) এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়া সরকারের সময়ে সময়ে জারীকৃত নীতিমালা অনুসৃত হবে।
৭.         প্রবিধানের কোন ধারার/ধারাসমূহের অথবা অনুলিখিত কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের অধিকার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক
সংরক্ষিত থাকবে এবং বোর্ডের ব্যাখ্যাই চূড়ানত্ম বলে বিবেচিত হবে।
------------- -------------

0 comments:

Post a Comment